আপনি যদি ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ল্যাপটপ খুঁজে থাকেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আগের আর্টিকেলে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে থাকা বেস্ট ল্যাপটপগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের আর্টিকেলে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে থাকা বেস্ট ল্যাপটপগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।৫০ হাজার টাকা বাজেটে অর্থাৎ মিড রেঞ্জে যে ল্যাপটপগুলো রয়েছে সেগুলোতে মূলত কোর আই ৫ বা কোর আই ৩ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে এবং কয়েকটি ল্যাপটপে ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ডও রয়েছে।এই বাজেটে যেসব ল্যাপটপ রয়েছে সেগুলো দিয়ে নিসন্দেহে দৈনন্দিন জীবনের সকল চাহিদাই মেটানো সম্ভব। এই বাজেটের ল্যাপটপগুলোর সাহায্যে আপনি ফটো এডিটিং, ভিডিও এডিটিং এর মতো যাবতীয় সকল কাজই করতে পারবেন। তো ভূমিকায় আর কথা না বাড়িয়ে একনজরে দেখে নিন ৫০ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে যে কয়টি ল্যাপটপ ফিচারস ও অন্যান্য দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে তাদের একটি তালিকা।$ads={1}আরও পড়ুনঃ
ল্যাপটপ কেনার আগে যে ১২টি বিষয় জানা জরুরি
৩০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা ল্যাপটপ (২০২০)
৪০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা ল্যাপটপ (২০২০)
৫০ হাজার টাকার মধ্যে ল্যাপটপ ২০২০
Lenovo IP320
Lenovo IP320 ল্যাপটপটি ৫০ হাজার টাকার মধ্যে থাকা অন্যতম সেরা একটি ল্যাপটপ। এতে রয়েছে ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১৯২০*১০৮০ পিক্সেল। লেনোভোর এই ল্যাপটপটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ৮ম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৫-৮২৫০ইউ প্রসেসর, এর বেইজ ক্লক ১.৬০ গিগাহার্টজ যা ৩.৪০ গিগাহার্টজ পর্যন্ত বুস্ট করা যাবে। সাথে থাকছে ৬ মেগাবাইট ক্যাশ মেমোরি।গ্রাফিক্স সুবিধা দিতে এতে রয়েছে ২ গিগাবাইট মমোরির এনভিডিয়া জিফোর্স ১৫০এমএক্স ডিডিআর৫ ডেডিকেটেড কার্ড। এটি ডেস্কটপ গ্রাফিক্স কার্ড জিটি ১০৩০ এর সমতুল্য। এই গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে লো এবং কিছু ক্ষত্রে মিডিয়াম সেটিংসে বর্তমান সময়ের সকল গেমসই উপভোগ করা যাবে। ল্যাপটপটিতে রয়েছে ৮ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র্যাম এবং ৫৪০০ আরপিএম এর ১ টেরাবাইট এইচডিডি ড্রাইভ।এতে ব্যাকআপ সুবিধা দিতে রয়েছে ২ সেল এর ৩৫Wh ব্যাটারি। ল্যাপটপটি দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ হাজার টাকায়।Dell Vostro (15–3578)
Dell Vostro (15–3578) ল্যাপটপটিতে রয়েছে ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি এন্টি গ্লেয়ার ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১৯২০*১০৮০ পিক্সেল। এন্টি গ্লেয়ার হওয়ায় যেকোন এঙ্গেল থেকে ডিসপ্লেতে সবকিছু স্পষ্ট দেখাবে। এই ল্যাপটপটিতেও রয়েছে ৮ম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৫-৮২৫০ইউ প্রসেসর, এর বেইজ ক্লক ১.৬০ গিগাহার্টজ যা ৩.৪০ গিগাহার্টজ পর্যন্ত বুস্ট করা যাবে। সাথে থাকছে ৬ মেগাবাইট ক্যাশ মেমোরি।গ্রাফিক্স সুবিধা দিতে এতে রয়েছে ২ গিগাবাইট মমোরির এএমডি রেডিয়ন ৫২০ ডিডিআর৫ ডেডিকেটেড কার্ড, যা দিয়ে হালকা পাতলা গেমিংও করা যাবে। ল্যাপটপটিতে রয়েছে ৪ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র্যাম এবং ৫৪০০ আরপিএম এর ১ টেরাবাইট এইচডিডি ড্রাইভ।এছাড়াও এতে রয়েছে এসডি ৩.০ মেমোরি কার্ড রিডার, এইচডি ওয়েব ক্যাম, ডিভিডি ড্রাইভ, ইউএসবি টাইপ সি ইত্যাদি। ল্যাপটপটিতে ব্যাকআপ সুবিধা দিতে রয়েছে ৪ সেল এর ৪০Wh ব্যাটারি। কালো কালারের ল্যাপটপটির ওজন ২.১৮ কেজি। এটি দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৯ হাজার টাকায়।Acer Aspire 3 (A315-53)
Acer Aspire 3 (A315-53) ল্যাপটপটি ৪৬ হাজার টাকার আশেপাশে পাওয়া যাবে। এতে রয়েছে ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১৯২০*১০৮০ পিক্সেল। থাকছে ৮ম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৫-৮২৬৫ইউ প্রসেসর, এর বেইজ ক্লক ১.৬০ গিগাহার্টজ যা ৩.৯০ গিগাহার্টজ পর্যন্ত বুস্ট করা যাবে। সাথে থাকছে ৬ মেগাবাইট ক্যাশ মেমোরি।ল্যাপটপটিতে রয়েছে ৪ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র্যাম এবং ৫৪০০ আরপিএম এর ১ টেরাবাইট এইচডিডি ড্রাইভ। গ্রাফিক্স সুবিধা দিতে এতে রয়েছে ইন্টেল আল্ট্র এইচডি ৬২০।এছাড়াও এতে রয়েছে মেমোরি কার্ড রিডার, এইচডি ওয়েব ক্যাম, ইউএসবি টাইপ সি। তবে নেই কোন ডিভিডি ড্রাইভ। ল্যাপটপটিতে ব্যাকআপ সুবিধা দিতে রয়েছে ২ সেল এর একটি ব্যাটারি, যা একটানা ৭ ঘন্টার মতো ব্যাকআপ দিবে। ২.১০ কেজি ওজনের ল্যাপটপটি দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৬ হাজার ৫০০ টাকায়।$ads={2}VivoBook 15 (X505BP)
আসুসের VivoBook 15 (X505BP) ল্যাপটপটি বাজেটের মধ্যে থাকা সেরা একটি ল্যাপটপ। এতে রয়েছে ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১৯২০*১০৮০ পিক্সেল। ল্যাপটপটিতে প্রসেসর হিসেবে রয়েছে এএমডি এ৯-৯৪২৫, এর বেইজ ক্লক ৩.১০ গিগাহার্টজ যা ৩.৭০ গিগাহার্টজ পর্যন্ত বুস্ট করা যাবে।এতে রয়েছে ৪ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র্যাম এবং ৫৪০০ আরপিএম এর ১ টেরাবাইট এইচডিডি ড্রাইভ। এইচডিডি ড্রাইভ ছাড়াও এতে রয়েছে ১২৮ গিগাবাইট এসএসডি ড্রাইভ। গ্রাফিক্স সুবিধা দিতে এতে রয়েছে ২ গিগাবাইট মেমোরির এএমডি রেডিয়ন আর৫ এম৪২০ ডেডিকেটেড কার্ড, যা দিয়ে হালকা পাতলা গেমিং করতে পারবেন। এছাড়াও ল্যাপটপটিতে রয়েছে মেমোরি কার্ড রিডার, ভিজিএ ওয়েব ক্যাম, ইউএসবি টাইপ সি, সনিক মাস্টার টেকনোলজির বিল্ট-ইন স্পিকার এবং মাইক্রোফোন। তবে নেই কোন ডিভিডি ড্রাইভ। ১.৬৮ কেজি ওজনের ল্যাপটপটিতে ব্যাকআপ সুবিধা দিতে রয়েছে ৪২Wh এর একটি ব্যাটারি। ল্যাপটপটি দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৩ হাজার টাকায়। Acer Aspire (A515-51G)
Acer Aspire A515-51G মডেলের ল্যাপটপটিতে রয়েছে ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১৯২০*১০৮০ পিক্সেল। ল্যাপটপটিতে থাকছে ৮ম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৩ ৮১৩০ইউ প্রসেসর, এর বেইজ ক্লক ২.২০ গিগাহার্টজ যা ৩.৪০ গিগাহার্টজ পর্যন্ত বুস্ট করা যাবে। ৪ মেগাবাইট ক্যাশ মেমোরির ল্যাপটপটিতে রয়েছে দুইটি কোর এবং চারটি থ্রেড। গ্রাফিক্স সুবিধা দিতে এতে রয়েছে ২ গিগাবাইট মমোরির এনভিডিয়া জিফোর্স এমএক্স১৩০ ডেডিকেটেড কার্ড।ল্যাপটপটিতে রয়েছে ৪ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র্যাম এবং ৫৪০০ আরপিএম এর ১ টেরাবাইট এইচডিডি ড্রাইভ।এছাড়াও এতে রয়েছে এসডি কার্ড রিডার, এইচডি ৭২০ পিক্সেল ওয়েব ক্যাম, ইউএসবি টাইপ সি। নেই কোন ডিভিডি ড্রাইভ। ল্যাপটপটিতে ব্যাকআপ সুবিধা দিতে রয়েছে ৪ সেল এর একটি ব্যাটারি। স্টিল গ্রে কালারের ল্যাপটপটির ওজন ২.২০ কেজি। এর দাম ৪৪ হাজার টাকা। VivoBook S15 (S530UA)
আসুসের ভিভোবুক এস সিরিজের আরেকটি ল্যাপটপ হলো এই VivoBook S15 (S530UA)। ল্যাপটপটিতে থাকছে ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১৯২০*১০৮০ পিক্সেল। ডিসপ্লেটি অন্যান্য ল্যাপটপের থেকে ৩০% কম ব্লু লাইট প্রডিউস করে। এই ল্যাপটপটিতেও রয়েছে ৮ম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৩ ৮১৩০ইউ প্রসেসর, এর বেইজ ক্লক ২.২০ গিগাহার্টজ যা ৩.৪০ গিগাহার্টজ পর্যন্ত বুস্ট করা যাবে। ৪ মেগাবাইট ক্যাশ মেমোরির ল্যাপটপটিতে রয়েছে দুইটি কোর এবং চারটি থ্রেড। ল্যাপটপটিতে থাকছে ৪ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র্যাম এবং ৫৪০০ আরপিএম এর ১ টেরাবাইট এইচডিডি ড্রাইভ। ল্যাপটপটিতে একটি এম২ স্লট রয়েছে। আপনি পরবর্তীতে এতে এসএসডি ড্রাইভ এড করতে পারবেন। গ্রাফিক্স সুবিধা দিতে এতে রয়েছে ইন্টেল আল্ট্র এইচডি ৬২০। এছাড়াও ল্যাপটপটিতে রয়েছে এসডি কার্ড রিডার, এইচডি ওয়েব ক্যাম, ইউএসবি টাইপ সি ইত্যাদি। ল্যাপটপটিতে ব্যাকআপ সুবিধা দিতে রয়েছে ৩ সেল এর ৪২Wh ব্যাটারি। ল্যাপটপটির ওজন ১.৮ কেজি। ল্যাপটপটি দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ হাজার ৫০০ টাকায়। তো এই ছিলো ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ল্যাপটপ এর একটি তালিকা। আপনি যদি ৫০ হাজার টাকার মধ্যে কোন ল্যাপটপ কেনার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে আর্টিকেলে উল্লেখিত ল্যাপটপগুলো কেনার আগে পর্যালোচনা করার জন্য অনুরোধ রইলো।