আমাদের ল্যাপটপ বায়িং গাইডে আপনাকে স্বাগতম। আগের আর্টিকেলে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে থাকা সেরা ল্যাপটপগুলো নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজকের আর্টিকেলে আমি ৪০ হাজার টাকার মধ্যে ল্যাপটপ নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।৪০ হাজার টাকার মধ্যে থাকা ল্যাপটপগুলোকে সাধারণত বাজেট ল্যাপটপ বলা হয়ে থাকে। আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাজারে বাজেট রেঞ্জের ল্যাপটপগুলোর বেশ ভালোই চাহিদা রয়েছে।যেহেতু চাহিদা বেশি সেহেতু এই রেঞ্জে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপের সংখ্যাও অনেক বেশি। ফলে আপনি যদি এই বাজেটের মধ্যে কোন ল্যাপটপ কিনতে যান, তাহলে আপনি কনফিউশনে পড়ে যেতে পারেন। সেজন্যই আজকের আর্টিকেলে আমি ৪০ হাজার টাকার মধ্যে থাকা বেস্ট ল্যাপটপগুলোর একটি তালিকা আপনাদের সামনে তুলে ধরব এবং এ বিষয়ে একটি পরিপূর্ণ গাইড লাইন দেওয়ার চেষ্টা করবো। ৪০ হাজার টাকার মধ্যে যে ল্যাপটপগুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ ল্যাপটপেই ব্যবহৃত হয়েছে ইন্টেল কোর আই ৩ প্রসেসর, যা দিয়ে আপনি আপনার দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজই সেরে নিতে পারবেন। তো ভূমিকায় আর কথা না বাড়িয়ে একনজরে দেখে নেয়া যাক ৪০ হাজার টাকার মধ্যে কোন কোন ল্যাপটপ ফিচারস ও বিল্ড কোয়ালিটির দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে?$ads={1}আরো পড়ুনঃ
ল্যাপটপ কেনার আগে যে ১২টি বিষয় জানা জরুরি
৪০ হাজার টাকায় পিসি বায়িং গাইড
৩০ হাজার টাকার মধ্যে ল্যাপটপ (২০২০)
৫০ হাজার টাকার মধ্যে ল্যাপটপ (২০২০)
৪০ হাজার টাকার মধ্যে ল্যাপটপ ২০২০
৩০-৩২ হাজার টাকা বাজেটে সেরা:
Lenovo IdeaPad 130
Lenovo IdeaPad 130 ল্যাপটপটিতে রয়েছে ১৫.৬ ইঞ্চি এন্টি গ্লেয়ার এইচডি ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১৩৬৬*৭৬৮ পিক্সেল। লেনোভোর এই ল্যাপটপটিতে থাকছে ৩ মেগাবাইট ক্যাশ মেমোরির ২ গিগাহার্টজ ৬ষ্ঠ প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৩ প্রসেসর। সাথে থাকছে ইন্টেল এইচডি ৫২০ ইন্টারনাল গ্রাফিক্স কার্ড।ল্যাপটপটিতে ৪ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র্যামের পাশাপাশি রয়েছে ৫৪০০ আরপিএম এর ১ টেরাবাইট এইচডিডি ড্রাইভ। এতে একটি এক্সট্রা র্যাম স্লটও রয়েছে।এছাড়াও ল্যাপটপটিতে থাকছে ডিভিডি ড্রাইভ, ৪-ইন-১ কার্ড রিডার, ওয়েবক্যাম, বিল্ট-ইন ব্লুটথ, ওয়াইফাই, ইউএসবি ২.০, ইউএসবি ৩.০ ইত্যাদি।ল্যাপটপটি একবার চার্জে চলবে ৫.৫ ঘন্টার মতো। এর ওজন ৪.৬ পাউন্ড বা ২.১ কেজি। ল্যাপটপটি দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩১ হাজার ৫০০ টাকায়। Acer Aspire (A315-51 362Z)
এই বাজেটের মধ্যে এসারের Aspire A315-51 362Z মডেলের ল্যাপটপটি পাওয়া যাবে। ল্যাপটপটিতে রয়েছে ১৫.৬ ইঞ্চি ১৩৬৬*৭৬৮ রেজুলেশনের একটি এইচডি ডিসপ্লে।প্রসেসর হিসেবে ল্যাপটপটিতে রয়েছে ৬ষ্ঠ প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৩, এর বেইজ ক্লক ২ গিগাহার্টজ। সাথে থাকছে ৩ মেগাবাইট ক্যাশ মেমোরি।এসারের এই ল্যাপটপটিতে ৪ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র্যামের পাশাপাশি রয়েছে ১ টেরাবাইট স্টোরেজ। ল্যাপটপটির ওজন ২.১ কেজি।এতে রয়েছে ইন্টেল এইচডি ৬২০ ইন্টারনাল গ্রাফিক্স কার্ড, যা দিয়ে ফটো এডিটিং সহ হালকাপাতলা গেমিংও করা যাবে। এছাড়াও ল্যাপটপটিতে রয়েছে ওয়েবক্যাম, বিল্ট-ইন ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, ইউএসবি ২.০, ইউএসবি ৩.০। তবে নেই কোন ডিভিডি ড্রাইভ বা কার্ড রিডার। ব্যাকআপ সুবিধা দিতে ল্যাপটপটিতে রয়েছে ২ সেলের একটি লিথিয়াম ব্যাটারি যা কমপক্ষে ৬.৫ ঘণ্টা ব্যাকআপ দিবে। ল্যাপটপটির দাম ৩১ হাজার ৫০০ টাকা। ৩২-৩৪ হাজার টাকা বাজেটে সেরা:
Dell Inspiron n3567
আপনার বাজেট যদি ৩২ হাজার টাকার আশেপাশে হয় তাহলে আপনি Dell Inspiron n3567 মডেলটি দেখতে পারেন। এই ল্যাপটপটিতে থাকছে ১৫.৬ ইঞ্চি ১৩৬৬*৭৬৮ রেজুলেশনের একটি এইচডি ডিসপ্লে।এর স্কিন এন্টি গ্লেয়ার হওয়ায় যেকোন অ্যাঙ্গেল থেকে স্কিনে থাকা সবকিছু স্পষ্ট দেখা যাবে। সেইসাথে এতে থাকছে ব্যাকলিট কি-বোর্ড।এই ল্যাপটপটিতে রয়েছে ৬ষ্ঠ প্রজন্মের ২ গিগাহার্টজ ইন্টেল কোর আই ৩ প্রসেসর। সাথে থাকছে ৩ মেগাবাইট ক্যাশ মেমোরি। ল্যাপটপটিত রয়েছে ২৪০০০ মেগাহার্টজের ৪ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র্যাম এবং ১ টেরাবাইট স্টোরেজ, যা পরবর্তীতে আরো বাড়ানো যাবে।গ্রাফিক্স সুবিধা দিতে এতে মিলবে ইন্টেল এইচডি ৫২০ ইন্টারনাল কার্ড। এছাড়াও ল্যাপটপটিতে থাকছে ৭২০ পিক্সেল এইচডি ওয়েবক্যাম, ডিভিডি ড্রাইভ, বিল্ট-ইন ব্লুটুথ, ওয়াইফাই ইত্যাদি। ল্যাপটিতে থাকছে হাই ডেফিনেশন অডিও সিস্টেম। ব্যাকআপ সুবিধা দিতে এতে থাকছে ২ সেলের একটি ব্যাটারি। এরএ দাম ৩২ হাজার ২০০ টাকা। Dell Inspiron 3567
আপনার বাজেট যদি ৩৩ হাজার টাকার আশেপাশে হয় তাহলে আপনি Dell Inspiron 3567 মডেলটি দেখতে পারেন। ল্যাপটিতে থাকছে ১৫.৬ ইঞ্চি এন্টি গ্লেয়ার এইচডি ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১৩৬৬*৭৬৮ পিক্সেল।ডেলের এই ল্যাপটপটিতে রয়েছে ৭ম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৩ প্রসেসর, এর বেইজ ক্লক ২.৩০ গিগাহার্টজ। সাথে থাকছে ৩ মেগাবাইট ক্যাশ মেমোরি। প্রসেসরের দিক দিয়ে এই বাজেটে ল্যাপটপটি অন্যান্য ল্যাপটপ থেকে এগিয়ে রয়েছে।এইচপির এই ল্যাপটপটিতে ২৪০০ মেগাহার্টজ ৪ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র্যামের পাশাপাশি রয়েছে ১ টেরাবাইট স্টোরেজ। গ্রাফিক্স সুবিধা দিতে এতে মিলবে ইন্টেল এইচডি ৬২০ ইন্টারনাল কার্ড, যা দিয়ে হালকাপাতলা গেমিং তো করাই যাবে। এছাড়া ল্যাপটপটিতে থাকছে ৭২০ পিক্সেল এইচডি ওয়েবক্যাম, ইউএসবি ৩.০, ডিভিডি ড্রাইভ, বিল্ট-ইন ব্লুটুথ, ওয়াইফাই সিস্টেম।ব্যাকআপ সুবিধা দিতে ল্যাপটপটিতে থাকছে ২ সেলের একটি ব্যাটারি। ল্যাপটপটির দাম ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা। Lenovo IP320
এই বাজেটের মধ্যে থাকা আরেকটি ল্যাপটপ হলো Lenovo IP320। বাজেট রেঞ্জের অন্যান্য ল্যাপটপের মতো এতেও রয়েছে ১৫.৬ ইঞ্চি ১৩৬৬*৭৬৮ রেজুলেশনের একটি এইচডি ডিসপ্লে। ল্যাপটপটিতে রয়েছে ৬ষ্ঠ প্রজন্মের ২ গিগাহার্টজ ইন্টেল কোর আই ৩ প্রসেসর। সাথে থাকছে ৩ মেগাবাইট ক্যাশ মেমোরি। লেনোভোর এই ল্যাপটপটিতে রয়েছে ৪ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র্যাম এবং ৫৪০০ আরপিএম এর ১ টেরাবাইট স্টোরেজ। ল্যাপটপটির ওজন ২.১ কেজি।আপনি যদি কম বাজেটের মধ্যে ল্যাপটপে ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড আশা করেন, তাহলে এই ল্যাপটপটি আপনার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। কেননা, এতে রয়েছে ২ গিগাবাইট মমোরির এনভিডিয়া জিটি ৯২০এমএক্স ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড। এটি গেমিং, ফটো এডিটিং বা ভিডিও এডিটিং এর মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্য গ্রাফিক্সের পারফরম্যান্স ৩.২৫ গুণ অবধি বাড়িয়ে তোলতে সক্ষম। ল্যাপটপটিতে থাকা এনভিডিয়া জিটি ৯২০এমএক্স এ ব্যবহার করা হয়েছে অপ্টিমাস প্রযুক্তি, যা আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারি লাইফ সেইভ করতে সাহায্য করবে। ব্যাকআপ সুবিধা দিতে ল্যাপটপটিতে থাকছে ২ সেলের একটি ব্যাটারি যা একবার চার্জে চলবে ৪ ঘণ্টার মতো। এটি এই ল্যাপটপের একটি নেগেটিভ দিক বলা যেতে পারে। ল্যাপটপটির দাম ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা। $ads={2}৩৪-৩৬ হাজার টাকা বাজেটে সেরা:
Acer Aspire (A315-51)
আপনার বাজেট ৩৪ হাজার টাকার আশেপাশে হলে আপনি এসারের Aspire A315-51 মডেলটি দেখতে পারেন। ল্যাপটিতে থাকছে ১৫.৬ ইঞ্চির একটি এইচডি ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১৩৬৬*৭৬৮ পিক্সেল।এসারের এই ল্যাপটপটিতে রয়েছে ২.৭০ গিগাহার্টজ ৭ম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৩ প্রসেসর। সাথে থাকছে ৩ মেগাবাইট ক্যাশ মেমোরি।ল্যাপটপটিতে ৪ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র্যামের পাশাপাশি রয়েছে ১ টেরাবাইট স্টোরেজ। ল্যাপটপটির ওজন মাত্র ১.৮৬ কেজির মতো।গ্রাফিক্স সুবিধা দিতে ল্যাপটপটিতে রয়েছে ইন্টেল এইচডি ৬২০ ইন্টারনাল কার্ড, যা দিয়ে হালকাপাতলা গেমিংও করা যাবে। ল্যাপটপটিতে ওয়েবক্যাম, ইউএসবি ৩.০, বিল্ট-ইন ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, কার্ড রিডার সহ সব প্রয়োজনীয় ফিচারসই রয়েছে।ব্যাকআপ সুবিধা দিতে ল্যাপটপটিতে থাকছে ২ সেলের একটি ব্যাটারি যা কমপক্ষে ৬.৫ ঘন্টার মতো ব্যাকআপ দিবে। ল্যাপটপটির দাম ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা। ASUS VivoBook 15 (X505BP)
এই বাজেটে থাকা আসুসের একটি বেস্ট ল্যাপটপ হলো ASUS VivoBook 15 X505BP। কম বাজেটে ল্যাপটপটিতে আপনি পাচ্ছেন ১৫.৬ ইঞ্চি ১০৮০ পিক্সেল ফুল এইচডি ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১৯২০*১০৮০।প্রসেসর হিসেবে ল্যাপটপটিতে রয়েছে ১ মেগাবাইট ক্যাশ মেমোরির এএমডি এ৬-৯২২৫, এর বেইজ ক্লক ২.৬০ গিগাহার্টজ যা ৩ গিগাহার্টজ পর্যন্ত বুস্ট করা যাবে।ল্যাপটপটিতে ৪ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র্যামের পাশাপাশি রয়েছে ৫৪০০ আরপিএম এর ১ টেরাবাইট স্টোরেজ। বাজেট রেঞ্জের এই ল্যাপটপটিতে রয়েছে ২ গিগাবাইট মেমোরির এএমডি রেডিয়ন আর ৫ এম৪২০ ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড, যা দিয়ে লো বা মিডিয়ায় সেটিংসে বর্তমান সময়ের অনেক গেমসই খেলা যাবে।হাইলি পোর্টেবল ল্যাপটপটির ওজন মাত্র ১.৬৮ কেজি। ফলে ল্যাপটপটি বয়ে বেড়াতে কোন সমস্যা হবে না। থাকছে জেনুইন উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম। অন্যান্য ল্যাপটপের মতো এতেও ওয়েবক্যাম, বিল্ট-ইন ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, কার্ড রিডার, ইউএসবি ৩.০ সহ সব প্রয়োজনীয় ফিচারসই রয়েছে। ল্যাপটপটির সাউন্ড কোয়ালিটিও বেশ ভালো।ব্যাকআপ সুবিধা দিতে এতে রয়েছে ৪২ Wh ব্যাটারি। মাত্র ৪৯ মিনিটে ল্যাপটপটির ব্যাটারি ৬০% পর্যন্ত চার্জ করা যাবে। ল্যাপটপটির দাম ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা। ৩৬-৩৮ হাজার টাকা বাজেটে সেরা:
Acer Travelmate (TMP249-G3-M)
নাম শুনেই বুঝতে পারছেন যে এটি একটি পোর্টেবল ল্যাপটপ। এই ট্রেভলমেট ল্যাপটপটির ওজন ২.১০ কেজি।ল্যাপটপটিতে রয়েছে ১৪ ইঞ্চির একটি এইচডি ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১৩৬৬*৭৬৮ পিক্সেল। থাকছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার এবং ব্যাকলিট কি-বোর্ড। এসারের এই ল্যাপটপটিতে রয়েছে ৮ম প্রজন্মের লেটেস্ট ইন্টেল কোর আই ৩ প্রসেসর, এর বেইজ ক্লক ২.২০ গিগাহার্টজ যা ৩.৪০ গিগাহার্টজ পর্যন্ত বুস্ট করা যাবে। সাথে থাকছে ৪ মেগাবাইট ক্যাশ মেমোরি।৪ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র্যাম এবং ১ টেরাবাইট স্টোরেজের পাশাপাশি ল্যাপটপটিতে রয়েছে ইন্টেল আল্ট্রা এইচডি ৬২০ ইন্টারনাল গ্রাফিক্স কার্ড, যা দিয়ে হালকাপাতলা গেমিং করা যাবে।ল্যাপটপটিতে ওয়েবক্যাম, ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, কার্ড রিডার, ইউএসবি ৩.০, বিল্ট-ইন স্পিকার সহ সব প্রয়োজনীয় ফিচারসই আছে। এতে ব্যাকআপ সুবিধা দিতে রয়েছে শক্তিশালী ৪ সেল এর ব্যাটারি যা একবার চার্জে চলবে টানা ১০ ঘন্টা। ল্যাপটপটির দাম ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। Lenovo IP320 (2TB HDD)
লেনোভো IP320 সিরিজের এই মডেলটি ৩৮ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। ল্যাপটপটিতে রয়েছে ১৫.৬ ইঞ্চির একটি এন্টি গ্লেয়ার ফুল এইচডি ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১৯২০*১০৮০ পিক্সেল।লেনোভোর এই ল্যাপটপটিতে রয়েছে ২.৪০ গিগাহার্টজ ৭ম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৩ প্রসেসর। সাথে থাকছে ৩ মেগাবাইট ক্যাশ মেমোরি।বাজেট রেঞ্জের প্রায় সব ল্যাপটপে ৪ গিগাবাইট র্যাম এবং ১ টেরাবাইট স্টোরেজ থাকলেও আপনি এই ল্যাপটপে পাচ্ছেন ৮ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র্যাম এবং ৫৪০০ আরপিএম এর ২ টেরাবাইট স্টোরেজ। এই দিক দিয়ে ল্যাপটপটি অন্যান্য ল্যাপটপের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। গ্রাফিক্স সুবিধা দিতে ল্যাপটপটিতে মিলবে ইন্টেল এইচডি ৬২০ ইন্টারনাল কার্ড। ২.১ কেজি ওজনের ল্যাপটপটিতে আরো রয়েছে এইচডি ওয়েবক্যাম, ইউএসবি ৩.০, এসডি কার্ড রিডার, ডিভিডি ড্রাইভ, ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই সিস্টেম। ব্যাকআপ সুবিধা দিতে ল্যাপটপটিতে থাকছে ২ সেলের একটি ব্যাটারি যা ৪ ঘন্টার মতো ব্যাকআপ দিবে। ল্যাপটপটির দাম ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। HP 15 (da0025tu)
এইচপির 15-da0025tu মডেলটিতে রয়েছে ১৪ ইঞ্চি WLED স্কিন এর এইচডি ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১৩৬৬*৭৬৮ পিক্সেল। ল্যাপটপটির ওজন মাত্র ১.৭৭ কেজি। প্রসেসর হিসেবে ল্যাপটপটিতে রয়েছে ৮ম প্রজন্মের লেটেস্ট ইন্টেল কোর আই ৩, এর বেইজ ক্লক ২.২০ গিগাহার্টজ যা ৩.৪০ গিগাহার্টজ পর্যন্ত বুস্ট করা যাবে। সাথে থাকছে ইন্টেল টার্বো বোস্ট টেকনোলজি এবং ৪ মেগাবাইট ক্যাশ মেমোরি।৪ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র্যাম এবং ১ টেরাবাইট স্টোরেজের পাশাপাশি ল্যাপটপটিতে রয়েছে ইন্টেল আল্ট্রা এইচডি ৬২০ ইন্টারনাল গ্রাফিক্স কার্ড।ল্যাপটপটিতে আরো থাকছে মাইক্রোফোনের সাথে এইচপি ট্রো ভিশন এইচডি ওয়েবক্যাম, ডিভিডি ড্রাইভ, মাল্টিপল কার্ড রিডার, ইউএসবি ৩.০, বিল্ট-ইন ডুয়েল স্পিকার, ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই সিস্টেম।এতে ব্যাকআপ সুবিধা দিতে রয়েছে ৩ সেল এর ৪১ Wh ব্যাটারি। ল্যাপটপটির দাম ৩৮ হাজার টাকা। ৩৮-৪০ হাজার টাকা বাজেটে সেরা:
Dell Inspiron (14-5468)
এই বাজেটের মধ্যে যদি আপনি কোন ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে আমি আপনাকে Dell Inspiron 14-5468 মডেলটি সাজেস্ট করবো।কেননা এটিই বাজেট রেঞ্জের একমাত্র ল্যাপটপ যেটিতে আপনি পাচ্ছেন ৭ম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৫ প্রসেসর। এর বেইজ ক্লক ২.৫০ গিগাহার্টজ যা ৩.১০ গিগাহার্টজ পর্যন্ত বুস্ট করা যাবে।ল্যাপটপটিতে থাকছে ১৪ ইঞ্চির একটি এইচডি ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১৩৬৬*৭৬৮ পিক্সেল। ল্যাপটপটির ওজন মাত্র ২.১ কেজি। ৪ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র্যাম এবং ১ টেরাবাইট স্টোরেজের পাশাপাশি ল্যাপটপটিতে রয়েছে ইন্টেল এইচডি ৬২০ ইন্টারনাল গ্রাফিক্স কার্ড।ল্যাপটপটিতে আরো থাকছে ওয়েবক্যাম, ডিভিডি ড্রাইভ, মাল্টিপল কার্ড রিডার, ইউএসবি ৩.০, বিল্ট-ইন স্পিকার, ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই সিস্টেম।এতে ব্যাকআপ সুবিধা দিতে রয়েছে ৪ সেল এর একটি ব্যাটারি। ল্যাপটপটি দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ৪০ হাজার টাকায়। মতামত তো এই ছিলো ৪০ হাজার টাকার মধ্যে থাকা সেরা ল্যাপটপগুলোর একটি তালিকা। ল্যাপটপগুলো দেশের বিভিন্ন অনলাইন এবং অফলাইন স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। আপনি যদি অনলাইনে কিনতে চান, তাহলে বিডিস্টল বা অন্য কোন সাইট হতে কিনতে পারেন।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আর্টিকেলে কোন রূপ ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আশা করি আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে।