BIJOYblog
  • Login
  • Register
No Result
View All Result
  • ফুড ও রেসিপি
  • টেকনোলজি
    • এন্ড্রোয়েড
    • গ্যাজেট
    • প্রোডাক্ট রিভিও
  • বিউটি টিপস
    • ত্বকের যত্ন
    • চুলের যত্ন
  • মেকআপ
  • লাইফস্টাইল
  • স্বাস্থ সুরক্ষা
    • ফ্যাশন
  • ওমেন্স সিক্রেট
    • গর্ভাবস্থা
BIJOYblog
No Result
View All Result
Home বিউটি টিপস চুলের যত্ন

টিনেজে হেয়ার কেয়ার। এ সময়ে চুলের যত্ন কিভাবে নিবেন?

by bijoyblog
October 2, 2020
in চুলের যত্ন
0
টিনেজে হেয়ার কেয়ার। এ সময়ে চুলের যত্ন কিভাবে নিবেন?
501
SHARES
1.4k
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

এইতো সেদিন সাফা ১৬ বছর বয়সে পা দিলো। কিন্তু বয়স কম হলে কী হবে, ফ্যাশনে সে অনেক বেশী এগিয়ে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সে মেকআপ এবং হেয়ার স্টাইলিংও বেশ করছে। চুল নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে তো তার দারুন লাগে। তার আম্মু মাঝে মধ্যে রেগে গিয়ে বলেন, এই বয়সেই চুলগুলোকে সব নষ্ট করে ফেলবি! প্রথম প্রথম পাত্তা না দিলেও পরে সেও বুঝতে পারে, চুলগুলো কেমন যেন আগের মতো সুন্দর নেই। কারন, সে হেয়ার নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে ঠিকই, কিন্তু যত্নটা ওইভাবে তার নেওয়া হয় না। সে ভাবতে লাগলো, এই টিনেজ সময়ে আসলে হেয়ার কেয়ারটা কিভাবে নেওয়া উচিত হবে!?

আপনি বা আপনার সন্তান কি টিনেজার? চিন্তায় আছেন যে কিভাবে চুলের যত্ন নিলে সেটা ভালো থাকবে এবং ভবিষ্যৎ এ চুলের ক্ষতি হবে না!!! এই আর্টিকেল আপনার জন্যেই। কারন, আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, কিভাবে টিনেজ হেয়ার কেয়ার রুটিন ফলো করবেন। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই টিনেজ হেয়ার কেয়ার সম্পর্কে।

টিনেজে রেগুলার হেয়ার কেয়ারের গুরুত্ব

চুলের যত্ন নেওয়া সকলের জন্যেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টিনেজারদের জন্য তো আরো বেশী জরুরি। কারন আপনি যদি আপনার চুলের যত্ন না নেন, তবে একটা বয়সের পরে চুল পরা, ড্রাইনেস, চুলের গ্রোথ সঠিক ভাবে না হওয়া, খুশকি, ইচি স্কাল্প, চুলের আগা ফাঁটা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই চুল যেমনই হোক ড্রাই বা অয়েলি, স্ট্রেইট বা কার্লি, টিনেজারদের অবশ্যই চুলের যত্নের দিকে নজর দিতে হবে। হুট হাট যার তার কাছ থেকে শুনেই চুলে বিভিন্ন প্রোডাক্ট ব্যবহারের চেষ্টা করা একদমই উচিত না। এতে করে চুল পরা এবং মাথার স্কাল্পে চুলকানি দেখা দিতে পারে। তাই আগে নিজের চুলকে বুঝতে হবে এবং সেই হিসেবে কেয়ারটা নিলে তবেই কাজে আসবে।

চুলের ধরন বুঝে হবে যত্ন

প্রত্যেকের চুলের ধরন আলাদা, সে টিনেজার হোক বা এডাল্ট। আর আমাদের উচিত চুলের ধরন বুঝে যত্নটা নেয়া। তাহলে সেটা অনেক বেশী এফেক্টিভ হবে।

১. ড্রাই হেয়ার কেয়ার

ড্রাই হেয়ার বলতে নরমালি আমরা রুক্ষ, শুষ্ক, সহজে জট বাঁধে এমন চুলকেই বুঝি। টিনেজারদের এই ধরনের হেয়ার হলে, হেয়ার কেয়ারে অবশ্যই একটু বেশী খেয়াল দিতে হবে! কারন, এই ধরনের চুল জট বাঁধে এবং ভেংগে যায় বেশী।

ড্রাই হেয়ারে শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না। এতে করে চুল অনেকটা ম্যানেজাবল এবং স্মুদ মনে হবে। ১২-১৪ বছর থেকেই ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্টসযুক্ত ভালো ব্র্যান্ডের কন্ডিশনার ইউজ করা যেতে পারে। ড্রাই হেয়ারে অবশ্যই কালারিং, হিট স্টাইলিং টুলস ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। এই বয়সে হিট স্টাইলিং টুলস ব্যবহার না করাই ভালো। সপ্তাহে একদিন ন্যাচারাল ইনগ্রিডিয়েন্টস দিতে বানানো একটা হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

ড্রাই হেয়ারের জন্য হেয়ার প্যাক

  • একটি ব্লেন্ডারের জগে একটি পাকা কলা, ১ টি ডিমের কুসুম, ১ টেবিল চামচ কোকোনাট মিল্ক অথবা টকদই ও ১ চামচ মধু নিন। সব কিছুকে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
  • এবার পুরো চুলে সিঁথি কেটে কেটে প্যাকটি লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।

২. অয়েলি হেয়ার কেয়ার

যাদের হেয়ার অয়েলি, তাদের নরমালি চুলের গোড়ায় অয়েলি এবং চিটচিটে হয়ে যেতে দেখা যায়। যেমন, আপনি আজ শ্যাম্পু করলেন, কাল দেখলেন চুল অনেক বেশি তেল চিটটিটে লাগছে। অয়েলি স্কাল্পকেই মেইনলি অয়েলি হেয়ার বলা হয়।

টিনেজাররা এই ধরনের চুল বলে কিন্তু অবশ্যই ঘন ঘন শ্যাম্পু করবেন না। এতে করে চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যেতে পারে। চুলে শ্যাম্পু করার সময় দরকার পরলে ২ বার শ্যাম্পু করে নিবেন মাইল্ড বা হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে। এরপর চুলের আগায় কন্ডিশনার লাগাবেন, গোঁড়াতে না কিন্তু! চুলের গোড়া বেশী অয়েলি হয়ে গেলে সামান্য ট্যালকম পাউডার বা বেবি পাউডার চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিলেই অয়েলিনেস দূর হয়ে যাবে। অয়েলি হেয়ারেও টিনেজাররা সপ্তাহে ১ দিন ন্যাচারাল হেয়ার প্যাক লাগাতে পারবে।

অয়েলি হেয়ারের জন্য হেয়ার প্যাক

  • একটি বাটিতে হাফ কাপ টকদই, ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল, ২ চা চামচ লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ বেসন নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। হেয়ার ফলের প্রব্লেম থাকলে আমলা পাউডারও দিয়ে দিতে পারেন।
  • এবার মিশ্রণটাকে মাথায় সিঁথি কেটে কেটে অ্যাপ্লাই করুন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিবেন।

টিনেজে হেয়ার অয়েলিং 

এই বয়সে তো শুধু চুল নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করলেই হবে না, চুলের যত্নে হেয়ার অয়েলিংও করতে হবে। তেলের ম্যাসাজ কেবল চুলে পুষ্টি সরবরাহ করে না, এটা চুলের ড্রাইনেস মোকাবেলার সেরা উপায়। আমাদের স্কাল্পে অয়েল প্রডিউসিং গ্লান্ডস রয়েছে। তবে স্ট্রেস, খুশকি, হার্শ শ্যাম্পু এবং অন্যান্য কারণে মাথার স্কাল্পের পোরগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এই বয়সে এটি বেশী দেখা যায়, যখন অয়েল গ্রন্থির ক্রিয়াকলাপ বৃদ্ধি পায়। পোর ক্লগিং চলতে থাকলে একসময় চুলে ড্রাইনেস দেখা দেয়।

হেয়ার অয়েলিং চুলের টেক্সচারকে সফট করতে সহায়তা করে এবং ফলিকলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। হেয়ার অয়েলিং মাথার ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখতে, চুলকে পরিপুষ্ট করতে এবং চুলের ড্রাইনেস দূর করে চুলে নারিশমেন্ট আনতে সহায়তা করে। টিনেজাররা চুলের যত্নে কোকোনাট অয়েল, আমন্ড অয়েল, অলিভ অয়েল বা হোমমেইড হারবাল হেয়ার অয়েল ব্যবহার করতে পারবে।

চুলের জন্য সঠিক শ্যাম্পু বেছে নেওয়া

শ্যাম্পু নির্বাচনে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। হুট করে কাউকে দেখেই একটা শ্যাম্পু কিনে বা বাড়ির বড়দের জন্য যে শ্যাম্পু কেনা আছে, তা ব্যবহার করলেই হবে না। সবসময় পিএইচ ব্যালেন্সড শ্যাম্পু ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এছাড়া কেরোটিন, এসেনশিয়াল অয়েল সমৃদ্ধ ভালো মানের একটা মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। মাইল্ড শ্যাম্পুতে প্যারাবেন, হার্শ কেমিক্যাল থাকে না। এই ধরনের শ্যাম্পুগুলো চুলের ন্যাচারাল অয়েল অপসারণ করে ফেলে চুলকে রুক্ষ বানিয়ে দিবে না। আর ৭-১০ বছর পর্যন্ত বেবিদের জন্য ফরমুলেটেড শ্যাম্পুও ভালো অপশন।

হেয়ার কেয়ারের বেসিক কিছু টিপস ফর টিনেজারস

১. চুল অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে। সপ্তাহে ২-৩ দিন শ্যাম্পু করতে পারেন প্রয়োজন অনুসারে।

২. চুলে পুষ্টি যোগাতে এবং নারিশমেন্ট আনতে সপ্তাহে ২-১ দিন চুলে তেল লাগাতেই হবে। তবে জোরে ঘষাঘষি করবেন না ভুলেও!

৩. চুলে হেয়ার ড্রাইয়ার ব্যবহার না করে স্বাভাবিকভাবে চুল শুকিয়ে নেওয়া ভালো। চুল আঁচড়ানোর জন্য অবশ্যই মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করবেন।

৪. হিট স্টাইলিং টুলসগুলো থেকে চুলকে যতসম্ভব দূরে রাখতে হবে। এখনই যদি চুলকে ড্যামজ করে ফেলেন, তবে ভবিষ্যৎ এ চুলের অবস্থা কী হবে একবার ভেবে দেখবেন। চুলে স্টাইলিং ন্যাচারালভাবেও করা যায়। ইন্টারনেট ঘাটলেই হিট স্টাইলিং টুলস ছাড়া হেয়ার স্টাইলিং করার অনেক উপায় দেখতে পাবেন।

৫. প্রতি ২-৩ মাস পর পর চুলের আগা ছাঁটবেন। এতে করে চুলের আগা ফাঁটা দূর হবে, চুল দেখতে হেলদি লাগবে।

৬. শুধু উপর থেকে যত্নই কিন্তু যথেষ্ট না। ভেতর থেকে কেয়ার নেওয়াটাও কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই অবশ্যই আপনাকে প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে। ফাস্টফুড, বাইরের খাবার কম খেয়ে হেলদি এবং ব্যালেন্সড ডায়েটের মধ্যে থাকা কিন্তু চুলের স্বাস্থের জন্য খুবই জরুরী। এছাড়া, চুলে কোনো সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

এই তো জেনে নিলেন, টিনেজ হেয়ার কেয়ার সম্পর্কে। আশা করছি, আপনারা এ সময়ে চুলের যত্ন সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারনা পেলেন। অথেনটিক হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টগুলো সাজগোজেই পেয়ে যাবেন। ভালো থাকুন!

ছবি- ইমেজেসবাজার, সাজগোজ

The post টিনেজে হেয়ার কেয়ার। এ সময়ে চুলের যত্ন কিভাবে নিবেন? appeared first on Shajgoj.

Related

Share200Tweet125Share50
Previous Post

চুলে জট পাকানো রোধ করতে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস জেনে নিন!

Next Post

হেয়ার কালার দীর্ঘস্থায়ী করতে মেনে চলুন এই টিপসগুলি

bijoyblog

bijoyblog

Next Post

হেয়ার কালার দীর্ঘস্থায়ী করতে মেনে চলুন এই টিপসগুলি

BIJOYblog

Copyright © 2020-2021 BIJOYblog all rights reserved

Navigate Site

  • Privacy Policy
  • Disclaimer
  • TERMS OF USE
  • Contact Us

Follow Us

No Result
View All Result
  • ফুড ও রেসিপি
  • টেকনোলজি
    • এন্ড্রোয়েড
    • গ্যাজেট
    • প্রোডাক্ট রিভিও
  • বিউটি টিপস
    • ত্বকের যত্ন
    • চুলের যত্ন
  • মেকআপ
  • লাইফস্টাইল
  • স্বাস্থ সুরক্ষা
    • ফ্যাশন
  • ওমেন্স সিক্রেট
    • গর্ভাবস্থা

Copyright © 2020-2021 BIJOYblog all rights reserved

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password? Sign Up

Create New Account!

Fill the forms below to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In